রাজধানীর হাতিরঝিল লেক থেকে সাংবাদিক সারাহ রেহনুমার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি জি-টিভির নিউজরুম এডিটর ছিলেন বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রেহনুমা কল্যাণপুরে থাকতেন বলে জানা গেছে। তিনি নোয়াখালী সোনাইমুড়ী উপজেলার ইসলামবাগ কৃষ্ণপুর গ্রামের বখতিয়ার শিকদারের মেয়ে।
এর আগে রাত ১১ ঘণ্টার দিকে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে সারা লিখেন, ‘জীবন্মৃত হয়ে থাকার চাইতে মরে যাওয়াই ভালো।’
এদিকে, সারাহ’র স্বামী সায়েদ শুভ্র জানান, সম্পর্কের মাধ্যমে সাত বছর পূর্বে আমরা পরিবারকে না জানিয়ে বিবাহ করেছিলাম। গতকাল সারাহ অফিসে গিয়ে রাতে আর বাসায় না ফিরে এক ব্যক্তিকে দিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাসা ভাড়ার টাকা পাঠিয়ে দিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, পরে আমি তাকে ফোন করে বলি রাতে তো তুমি বাসায় আসতে তাহলে অন্যকে দিয়ে কেন টাকা পাঠিয়ে দিয়েছো? তখন সে বলল আমি ব্যস্ত আছি বলে ফোন রেখে দেয়। পরে রাত ৩টার দিকে খবর পেয়ে ঢামেক এসে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, আমরা মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রেখেছি। ঘটনাটি হাতিরঝিল থানা পুলিশকে জানিয়েছি।
পাঠকের মতামত